google add

Thursday, December 4, 2014

মৃত ঘোড়া সমাচার

১. আমি যখন খুব ছোট, তখন একদিন আমার বাবা আমার হাত দেখে বললেন, “তুই আশি বছর বাঁচবি।” শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল, কী সর্বনাশ! মাত্র আশি বছর? মনে আছে মনের দুঃখে সারা রাত আমি ভেউ ভেউ করে কাঁদছিলাম এবং নানাভাবে আমাকে সান্তনা দিয়ে শান্ত করতে হয়েছিল। যাই হোক, এখন আমার বয়স বাষট্টি এবং আমি জানি বেঁচে থাকার জন্যে আশি বছর অনেক, আমার কপালে সেটা জুটবে কী না জানি না (যখনই কোনো জঙ্গী বাহিনীর খুন করার তালিকা উদ্ধার করা হয়, সেখানে আমার নামটি থাকে!)। যদি সত্যি সত্যি আশি বছর বেঁচে থাকতে পারি তাহলে একটা নূতন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারব সেটা চিন্তা করে আজকাল আমি এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করি।

Wednesday, November 26, 2014

দোহাই, আমাদের শিশুদের ক্রিমিনাল বানাবেন না

এতো দুঃখ নিয়ে আমি এর আগে কখনো কাগজ কলম নিয়ে বসিনি।

গত বছর যখন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সবাই মিলে চিৎকার চেচামেচি করছিলাম, তখন একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলে গেছে আসলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, কিছু কিছু ‘‘সাজেশন’’ প্রশ্নপত্রের সাথে ঘটনাক্রমে মিলে গেছে মাত্র। যারা এটা বলেছেন তারা নিজেরাও জানেন, দেশের মানুষ এতো বড় নির্বোধ নয় যে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কথাগুলো বিশ্বাস করবে।

Monday, November 24, 2014

রাস্তায় পুলিশ দেখি পার হতে ‍দিচ্ছে না

।রাস্তায় পুলিশ দেখি পার হতে ‍দিচ্ছে না
তারা বলল, এদিক দিয়ে যাবেন না ।গেলে ২০০ টাকা জরিমানা।
আথাৎ,
আমাকে জেতে হলে এক কিলোমিটার দূরের প্রজাপতি গূহার ভেতর দিয়ে ‍ যেতে হবে। তার পরও ওদের কথায় হেটে গেলাম। কবে হবে ওভারব্রিজ কবে হবে প্রজাপতি গুহা ঢাকার কারওয়ান বাজারে। আর কত দিন পুলিশ এভাবে দাড়িয়ে থেকে জরিমানা করে মানুষ দের রাস্তা পার করাবে।

প্রতি সকালে এক চামচ মধু

প্রাচীনকাল থেকেই মধু ঔষধি হিসেবে পরিচিত। সকালে মাত্র এক চামচ মধু আপনার দিনের শুরুটাকে মিষ্টি করে দিতে পারে। তাছাড়া প্রতি সকালে নিয়ম করে এক চামচ মধু খেলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়।

 মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা দুর্বলতা কাটিয়ে শরীরে শক্তি যোগানো এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া প্রতিদিন মধু খেলে ওজন কমে। তার জন্য খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেতে হবে। মধুর সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

Wednesday, November 19, 2014

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় ১২ জন পাকিস্তানী জেনারেল পরাজয় স্বীকার করে নিতে চায় নি, তাদের মধ্যে দুইজনের কথা বলবো আজ।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় ১২ জন পাকিস্তানী জেনারেল পরাজয় স্বীকার করে নিতে চায় নি, তাদের মধ্যে দুইজনের কথা বলবো আজ।

তাদের একজন ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন তার সম্পর্কে লিখেছেন ডঃ মুনতাসির মামুন 'পাকিস্তানী জেনারেলদের মন' বইতে। একটু লক্ষ করলে দেখবেন পাকিস্তানী উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই ছিলেন প্রবল বাঙালী বিদ্বেষী। তাদের বাংলা বিদ্বেষের পরিচয় পাওয়া যায় তাদের লেখা বিভিন্ন আত্মজীবনীতে। সেরকমই একজন বাঙালী বিদ্বেষী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন; ছিলেন প্রচন্ড হিন্দু বিদ্বেষী একজন মানুষ, তিনি তার অধিনস্ত বাঙালী সৈনিকদের নাম ধরে ডাকতেন না, বাঙাল বলতেন।


Tuesday, November 4, 2014

স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক

৭১ সালের ধর্ষিত নারী
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো।

অষ্ট্রেলিয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব; “আমাদের কাছে
টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না।

তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।” ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে চিঠি লিখেছে; “আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে। তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী” আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন টিক্কা খান কতোটা সফল ছিলো, পাকিস্তানীরা হেরে গেলেও আমাদের সাচ্চা পাকিস্তানী করে রেখে গেছে।

সত্যিকারের ভালোবাসা

সত্যিকারের ভালবাসার একটি শক্তিশালী, অগ্নিসদৃশ, উদ্দাম আবেগ নয়. এটা বিপরীত, একটি উপাদান শান্ত ও গভীর উপর, হয়. এটা নিছক বহির্ভাগ অতিক্রম দেখায়, এবং একা গুণাবলী দ্বারা আকৃষ্ট হয়. এটা জ্ঞানী ও পক্ষপাতমূলক হয়, এবং তার নিষ্ঠা বাস্তব এবং মান্যকারী হয়. "


--- এলেন জি হোয়াইট

Sunday, November 2, 2014

খুব কষ্ট লেগেছিল একজন বাঙ্গালীর মুখে রাজাকারের প্রশংসা শুনে

আজকে এক লোকের সাথে তর্ক হচ্ছিল

 - মীর কাশেমের ফাসী চাননা আপনে
 - উনি একজন শিল্পপতি। ভদ্রলোক
 - সে রাজাকার - অসম্ভব।

এটা চক্রান্ত করে তাকে ফাসানো হয়েছে খুব কষ্ট লেগেছিল একজন বাঙ্গালীর মুখে রাজাকারের প্রশংসা শুনে।

বাদ দেন কিছু ঘটনা বলি মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মচারী বাবার মেঝ ছেলে ছিল মীর কাশেম ,ডাকনাম পিয়ারু। আবার মিন্টুও ডাকত।

Friday, October 31, 2014

মায়ের বুকের দুধেরও দরকার ছিলো না, সেরেল্যাক খেলেও চলতো।

বাছন উল্লাহ

ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বাধীন ৩নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহন। স্ত্রী জয়তেরা বেগম ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরন। অন্যের বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে স্বজনদের নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছেন। মোঃ আব্দুস সালাম ৭ নং সেক্টরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওহিদুর রহমানের অধিনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) প্যারালাইজড রোগে। আব্দুস সামাদ টেম্পু ষ্টেন্ডে দিনমজুরের কাজ করেন। নিজস্ব পরিচয় পত্র যার মুক্তি বার্তা নং-০৩০৫০২০০৮৮ দেখিয়ে বলেন, এটিই আমার অহংকার।

ঈদে খরচ পাঠাব চিন্তা কোরোনা। " সে খরচ পাঠানো আর হয়নি ছেলের্।

বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমান
বাবা মায়ের আদরের সন্তান ছিল হামিদ। তবে সোনার চামচ মুখে নিয়া জন্মাইছে এইটা বলা যাবেনা। অভাবের সংসারে পড়ালেখাও খুব বেশিদুর করতে পারেনি।

বাপের সাথে যোগালীর কাজ করত। সত্তরের সেই আগুনঝরা দিনগুলোতে হামিদ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। পোষ্টিং পড়ে চট্টগ্রামের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ২৫ শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হলে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধে নামে মৃত্যুর আগে শেষবার মায়ের সাথে দেখা করতে গেলে ফেরার সময় হামিদ কথা দেয়

" ঈদে খরচ পাঠাব চিন্তা কোরোনা। " সে খরচ পাঠানো আর হয়নি ছেলের্।

অক্টোবরের আঠাস তারিখ। শ্রীমঙ্গল চা বাগান। চারদিকে সুনসান নীরবতা শুধু জেগে আছে মুক্তিবাহিনীর একটা ইউনিট। জেড ফোর্সের অধিনে তারা। ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম। ধলই সিমান্তে পাকি ক্যাম্প আজ রাতেই ধ্বংস করতে হবে। চুপিসারে কাজ সারতে হবে। কিন্তু হিসাবে মারাত্মক গোলমাল ছিল। তিন প্লাটুন সৈন্য মুভ করতেই শুরু হয়ে গেল পাকিদের অটোমেটিক মেশিনগানের গোলাবর্ষণ।

Thursday, October 30, 2014

নিজামীকে মন্ত্রী করাটা শহীদদের গালে চড় দেয়ার শামিল

নিঝামি হারামঝাদা
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে বাংলাদেশের মন্ত্রী করাটা ছিল মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও নির্যাতিতদের গালে চড় দেয়ার শামিল।


বুধবার নিজামীর রায়ের পর্যবেক্ষনে এ কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল। পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার করেছিলেন।

Wednesday, October 29, 2014

এটা দেইক্ষা, সাকা চৌঃ কথা না কইয়া আমি আর থাকতে পারলাম না।

নায়িকা

স্টার জলসায় একটা সিরিয়াল দেখে!

আমি তো চোদনা হয়ে গেলাম !

মানুষকে তারা কি ভাবে পাগল বানাচ্যে তা দেখে।
ওদের দোষ আর কত দেব, সিরিয়াল খোর মানুষ গুলোই তো আসলে পাগল।

ওরা তো টাকার জন্য কত কিছুই করতে পারে।

গত রোজার্ ঈদের আগে, আমি আমার গ্রামের বাড়ীর মহিলাদের কারনে একটা সিরিয়াল দেখতে বাধ্য হয়েছিলাম। সিরিয়াল টার নাম “আকাশ টা আচল”

Sunday, October 26, 2014

বঙগবন্ধু সম্পর্কে জাফারর্ ইকবাল

Add caption
আমি যখন এটা লিখছি তখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। একজন মানুষ যখন ৪৪ বছরে পা দেয় সে তখন পূর্ণবয়স্ক হয়ে যায়। দেশের জন্য সেটা সত্যি নয়, ৪৪ বছর একটা দেশের জন্য এমন কিছু বয়স নয়। আমাদের দেশের জন্য তো নয়ই, এই ৪৪ বছরের ভেতর ১৫ বছর ছিলো মিলিটারি শাসকদের কব্জায়-দেশের মন মানসিকতা তখন একেবারে উল্টোদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের দেশ আসলে শূন্য থেকে শুরু করেনি, নেগেটিভ থেকে শুরু করেছে। এই ৪৪ বছরেও দেশের কয়েকটা খুব বড় অপ্রাপ্তি রয়েছে, আমার ধারণা সেগুলো গুছিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা সঠিকভাবে অগ্রসর হতে পারবো না।

জাতীয় সংগীতে ইসলামী ব্যাংকের টাকা

এবারের স্বাধীনতা দিবসে লাখো কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে শুরুতেই একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল, আমরা সবাই সেটা জানি। জটিলতাটি এসেছিলো ইসলামী ব্যাংকের অনুদান নিয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো যে কুলাঙ্গারেরা তাদের সমর্থনপুষ্ঠ এই ব্যাংক কী করেছে সেটি তো কারো অজানা নেই! এই মূহুর্তে যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ চলছে, সেই বিচার কাজকে থামানোর জন্যে দেশে-বিদেশে যে লবিস্ট লাগানো হয়েছে তাদেরকেও টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করছে এই ব্যাংক- আমাদের কাছে সে রকম গুরুতর অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশ! এক আশ্চর্য রূপী মানুষের আবাসস্থল।

বাংলাদেশ!
এক আশ্চর্য রূপী মানুষের আবাসস্থল।
যেখানে দেশের সবছেয়ে বড় শত্রু হয়েও, কিছু মানুষের পরম বন্দু ও শ্রদ্ধার পাত্র।
আবাক এক বাংলাদেশে বাস করি আমরা, যেখানে সে দেশের যুদ্ধঅপরাধী দের জন্য, “হরতাল” দেওয়া হয়।
তাও আবার সেই হরতালে গরিবের পেটে, লাথি মারা হয়।
একি বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম ভীরু
এই জিনিস টা কাজে লাগানো হয়?
নাকি, এদেশের সাধারন মানুষের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাটার।
দূর্ব্যবহার করা হয়?