google add

Showing posts with label মুক্তিযুদ্ধ. Show all posts
Showing posts with label মুক্তিযুদ্ধ. Show all posts

Wednesday, November 19, 2014

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় ১২ জন পাকিস্তানী জেনারেল পরাজয় স্বীকার করে নিতে চায় নি, তাদের মধ্যে দুইজনের কথা বলবো আজ।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় ১২ জন পাকিস্তানী জেনারেল পরাজয় স্বীকার করে নিতে চায় নি, তাদের মধ্যে দুইজনের কথা বলবো আজ।

তাদের একজন ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন তার সম্পর্কে লিখেছেন ডঃ মুনতাসির মামুন 'পাকিস্তানী জেনারেলদের মন' বইতে। একটু লক্ষ করলে দেখবেন পাকিস্তানী উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই ছিলেন প্রবল বাঙালী বিদ্বেষী। তাদের বাংলা বিদ্বেষের পরিচয় পাওয়া যায় তাদের লেখা বিভিন্ন আত্মজীবনীতে। সেরকমই একজন বাঙালী বিদ্বেষী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন; ছিলেন প্রচন্ড হিন্দু বিদ্বেষী একজন মানুষ, তিনি তার অধিনস্ত বাঙালী সৈনিকদের নাম ধরে ডাকতেন না, বাঙাল বলতেন।


Tuesday, November 4, 2014

স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক

৭১ সালের ধর্ষিত নারী
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো।

অষ্ট্রেলিয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব; “আমাদের কাছে
টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না।

তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।” ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে চিঠি লিখেছে; “আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে। তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী” আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন টিক্কা খান কতোটা সফল ছিলো, পাকিস্তানীরা হেরে গেলেও আমাদের সাচ্চা পাকিস্তানী করে রেখে গেছে।

Sunday, November 2, 2014

খুব কষ্ট লেগেছিল একজন বাঙ্গালীর মুখে রাজাকারের প্রশংসা শুনে

আজকে এক লোকের সাথে তর্ক হচ্ছিল

 - মীর কাশেমের ফাসী চাননা আপনে
 - উনি একজন শিল্পপতি। ভদ্রলোক
 - সে রাজাকার - অসম্ভব।

এটা চক্রান্ত করে তাকে ফাসানো হয়েছে খুব কষ্ট লেগেছিল একজন বাঙ্গালীর মুখে রাজাকারের প্রশংসা শুনে।

বাদ দেন কিছু ঘটনা বলি মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মচারী বাবার মেঝ ছেলে ছিল মীর কাশেম ,ডাকনাম পিয়ারু। আবার মিন্টুও ডাকত।

Friday, October 31, 2014

মায়ের বুকের দুধেরও দরকার ছিলো না, সেরেল্যাক খেলেও চলতো।

বাছন উল্লাহ

ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বাধীন ৩নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহন। স্ত্রী জয়তেরা বেগম ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরন। অন্যের বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে স্বজনদের নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছেন। মোঃ আব্দুস সালাম ৭ নং সেক্টরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওহিদুর রহমানের অধিনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) প্যারালাইজড রোগে। আব্দুস সামাদ টেম্পু ষ্টেন্ডে দিনমজুরের কাজ করেন। নিজস্ব পরিচয় পত্র যার মুক্তি বার্তা নং-০৩০৫০২০০৮৮ দেখিয়ে বলেন, এটিই আমার অহংকার।

ঈদে খরচ পাঠাব চিন্তা কোরোনা। " সে খরচ পাঠানো আর হয়নি ছেলের্।

বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমান
বাবা মায়ের আদরের সন্তান ছিল হামিদ। তবে সোনার চামচ মুখে নিয়া জন্মাইছে এইটা বলা যাবেনা। অভাবের সংসারে পড়ালেখাও খুব বেশিদুর করতে পারেনি।

বাপের সাথে যোগালীর কাজ করত। সত্তরের সেই আগুনঝরা দিনগুলোতে হামিদ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। পোষ্টিং পড়ে চট্টগ্রামের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ২৫ শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হলে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধে নামে মৃত্যুর আগে শেষবার মায়ের সাথে দেখা করতে গেলে ফেরার সময় হামিদ কথা দেয়

" ঈদে খরচ পাঠাব চিন্তা কোরোনা। " সে খরচ পাঠানো আর হয়নি ছেলের্।

অক্টোবরের আঠাস তারিখ। শ্রীমঙ্গল চা বাগান। চারদিকে সুনসান নীরবতা শুধু জেগে আছে মুক্তিবাহিনীর একটা ইউনিট। জেড ফোর্সের অধিনে তারা। ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম। ধলই সিমান্তে পাকি ক্যাম্প আজ রাতেই ধ্বংস করতে হবে। চুপিসারে কাজ সারতে হবে। কিন্তু হিসাবে মারাত্মক গোলমাল ছিল। তিন প্লাটুন সৈন্য মুভ করতেই শুরু হয়ে গেল পাকিদের অটোমেটিক মেশিনগানের গোলাবর্ষণ।