
ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বাধীন ৩নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহন। স্ত্রী জয়তেরা বেগম ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরন। অন্যের বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে স্বজনদের নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছেন। মোঃ আব্দুস সালাম ৭ নং সেক্টরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওহিদুর রহমানের অধিনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) প্যারালাইজড রোগে। আব্দুস সামাদ টেম্পু ষ্টেন্ডে দিনমজুরের কাজ করেন। নিজস্ব পরিচয় পত্র যার মুক্তি বার্তা নং-০৩০৫০২০০৮৮ দেখিয়ে বলেন, এটিই আমার অহংকার।
শামসুল হক হালুয়াঘাটের প্লাটুন কমান্ডার।
যুদ্ধ শেষে সাতশ অস্ত্র নিজ দায়িত্বে জমা দেন। সেই সময়ের এসএসসি পাশ সত্যেও কোন চাকুরি পাননি। ছেলেরা হোটেল বয়। তিনি চলেন ভাতায়। মুক্তিবার্তা নং- ০১১৭১৩০২৪৩ ঝালু মিয়া পঞ্চগড়ে যুদ্ধ করেছেন। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করিয়েছেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় বিভিন্ন সরকারী সংস্থায় পাশ করলেও, মৌখিকে তারা বাদ পড়ে। তার ভাষ্যমতে 'টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি হয় না' সংসার চলে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে।
আলীম উদ্দিন
তিনি দিন মজুরী করে সংসার চালান। ছেলেরা রিকশা চালায়। বৃদ্ধ আলীম উদ্দিনের দিন মজুরী করা খুব কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। মুক্তিবার্তা নং-০১১৬০৮০২১৯, গেজেট নং-৬০৯।
গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধ হিন্দুদের ষড়যন্ত্র এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেন। শান্তি কমিটির প্রতিষ্ঠাতা, রাজাকার বললেই যার নাম চোখে ভাসে। “তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।” ১২ আগস্ট, ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রাম বিচার হবার আগে তিনি জামাতের আমির হয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটিয়েছেন।
বিচার হবার পর তার আগের জীবন যাপনের কিঞ্চিৎ নিদর্শন মেলে। ২১ পদের খাবার খেতেন। সেগুলো তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হতো। সকালের নাস্তা হিসেবে তাকে দেওয়া হতো লাল আটার তৈরি চার-পাঁচটি পাতলা রুটি, ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সব্জি ভাজি, ভুনা মুরগির মাংস, মিষ্টি, এনসিউর কোম্পানির দুধ ও কলা। দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হতো, চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি অথবা চিংড়ি মাছের ভর্তা, বেগুন ভাজি অথবা ভর্তা, ছোট চিংড়ি ও ছোট মাছ ভুনা, সালাদ, লেবু, মাল্টা, বরই ও নাশপাতি। সন্ধ্যার নাশতা হিসেবে দেওয়া হতো- লাড্ডু, নিমকি বিস্কুট, হরলিকস কিংবা স্যুপ। রাতের খাবার হিসেবে দেওয়া হতো চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি অথবা ভর্তা, ঢেঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া ও পেঁপে ভাজি, গরু অথবা খাসির ভুনা মাংস, সালাদ ও লেবু, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙ্গুর ও বরই।
তার মৃত্যুর পর অনেক মানুষ জানাজায় অংশ নিলো। পাকিস্তান তাকে আজীবন বন্ধু বলে গায়েবানা জানাজা পড়লো। জানাজায় মানুষ শপথ নিলো। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে শ্বাস নিয়ে, খাবার খেয়ে, বেঁচে থেকে অনলাইনে তারা 'স্বাধীনতা'র দরকার নেই বলে জানালো। ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম যে মায়ের পেটে দশ মাস থেকে বড় হয়ে বলা, মায়ের ইউটেরাসে থাকার কোন দরকার ছিলো না। আর্টিফিশিয়াল মিডিয়ামে হলেও হতো।
মায়ের বুকের দুধেরও দরকার ছিলো না, সেরেল্যাক খেলেও চলতো। সো সব দোষ মায়েরই। মুনতাসির মামুন ঠিকই বলেছেন, একটা অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। গোলাম আজমের জানাজা পড়তে, তাকে সাপোর্ট করতে লজ্জ্বা লাগে না। বিচিত্র এই দেশ। তারা বলে, পাকিস্তানের অখন্ডতা চেয়ে গোলাম আজম অপরাধ করেনাই, আর দেশের স্বাধীনতা চেয়ে বাকিরা বিরাট অপরাধ করছে। রিয়েলি উই আর ফাকড আপ। ডিপলি ফাকডআপ।
লিখা - সিডাটিভ হিপনোটিক্স
No comments:
Post a Comment